খিদে পেলেই তো হাতে তুলে নিচ্ছি বার্গার অথবা পিৎজা। পেট ভরলেই ভেবে নেই শরীরও ভরলো। যদিও, এটি খুবই ভুল ধারণা। আসলে এই ধরনের খাবারগুলো আমাদের শরীরকে আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তাই, শরীরে বাসা বাঁধছে হাজারো সমস্যা। ২০০৪ সালে আমেরিকায় ১০০-এরও বেশি খাবারের ওপর গবেষণা করে হয়।
USDA এর তথ্য অনুযায়ী,প্রতি ১০০ গ্রাম আপেলে রয়েছে ৫২ কিলোক্যালরি,শর্করা ১৩.৮১ গ্রাম,সুগার ৯.৫৯ গ্রাম,ফাইবার ২.৪০ গ্রাম, প্রোটিন০.২৬ গ্রাম, টোটাল ফ্যাট ০.১৭ গ্রাম,ফোলেট ৩ ম্যা.গ্রা.,ভিটামিন-কে ২.২ ম্যা. ভিটামিন-এ ৫৪ আই ইউ,ভিটামিন-ই ০.১৮ মি.গ্রা. এবং ভিটামিন-সি ৪.৬মি.গ্রা.।
১.সাদা ঝকঝকে দাঁত আপেল খেলে দাঁতের দারুণ উপকার হয়। তার কারণ, আপেলে কামড় দিয়ে যখন আমরা চিবোতে শুরু করিই, তখন আমাদের মুখের ভিতর লালার সৃষ্টি হয়। এই পদ্ধতিতে দাঁতের কোণা থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসে। এর ফলে সেই ব্যাকটেরিয়া আর দাঁতের কোনও ক্ষতি করতে পারেনা। তাই বলে, শুধু আপেল খেয়ে দাঁতের যত্ন নিতে যাবেন না যেন! মনে করে, পেস্ট ব্রাশ ব্যবহার করে দাঁতের যত্ন নেবেন।
২.ক্যান্সার দূর করে: আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপেল খেলে অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারের সম্ভাবনা প্রায় ২৩% হারে কমে। কারণ আপেলের মধ্যে প্রচুর
পরিমাণে ফ্ল্যাভোনল থাকে। এছাড়াও কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা আপেলের মধ্যে এমন কিছু উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন, যা ট্রিটারপেনয়েডস নামে পরিচিত। এই উপাদানটি লিভার, স্তন এবং কোলোনের মধ্যে ক্যান্সারের কোষ বেড়ে উঠতে বাঁধা দেয়। ন্যাশানাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউট ইন দ্য ইউ এস- এর গবেষণা থেকে জানা যায় যে, আপেলের মধ্যে যে পরিমাণে ফাইবার থাকে, তা মলাশয়ের ক্যান্সার রোধে সাহায্য করে।
৩.ডায়াবেটিসের সমস্যা কমায় যে সকল মেয়েরা প্রতিদিন আপেল খান, তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা ২৮% কমে যায়। তার কারণ, আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা রক্তে শর্করার পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
৪.কোলেস্টেরল কমায় আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা অন্ত্রের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে। আর একবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করলে হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৫.হার্ট ভালো রাখে আগেই বলা হয়েছে যে, আপেলের মধ্যে যে ফাইবার থাকে, তা কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও, আপেলের খোসার মধ্যে যে ফেনলিক উপাদান থাকে, তা রক্তনালিকার থেকে কোলেস্টেরল দূর করতে সাহায্য করে। এর ফলে হার্টে রক্তচলাচলা স্বাভাবিক থাকে।
৬.হাড় শক্ত করেঃ আপেলে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে বোরন যা হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে। অ্যালঝেইমার্স প্রতিরোধঃ প্রতিদিন আপেল খেলে বয়সজনিত জটিল অ্যালঝেইমার্স রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। পানিশুন্যতা দূর করেঃ আপেলে আছে প্রচুর পরিমানে পানি যা তৃষ্ণা ও পানিশুন্যতা দূর করে এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেঃ আপেলে পেকটিন নামের একটি উপাদান থাকে। পেকটিন ইনসুলিনের পরিমাণ ঠিক রেখে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
0 Comments